এখনই বিসিবি ছাড়ছেন না পাপন
টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে আসার পর থেকেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে জোর গুঞ্জন, মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর বিসিবির দায়িত্ব ছাড়তে পারেন তিনি।
যদিও মন্ত্রিত্ব ও বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব একসঙ্গে পালন সাংঘর্ষিক নয়। এবার কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের নবনিযুক্ত ক্রীড়ামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে নিজেই জানালেন বিসিবি নিয়ে তার ভাবনা।
মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শপথবাক্য পাঠ করতে বঙ্গবভনে উপস্থিত হন পাপন। সেখানে তিনি শপথের পর উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিসিবি সভাপতির পদ নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। জানালেন এখনই ছাড়ছেন না বিসিবি। তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই চলে যেতে চান তিনি।
মন্ত্রী হওয়ায় পর বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন কিনা এই প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কি না।’
অবশ্য অতীত ইতিহাস পাপনের পক্ষেই কথা বলছে। এর আগেও অনেকেও একইসঙ্গে বিসিবির সভাপতি ও মন্ত্রিত্বের দায়িত্বে ছিলেন এবং তালিকাটা নির্ঘাত ছোটও নয়।
১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ একই সঙ্গে ছিলেন বিসিবি সভাপতি। এরপর আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানও ৯১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন।
এরপর ৪ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১৮ আগস্ট ২০০১ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সময় সংসদ সদস্য থাকা সাবের হোসেন সাড়ে তিন বছর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন। ১ জানুয়ারি ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন সাবের।
এদিকে বিসিবির দায়িত্ব ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন পাপন। তিনি তাই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেও আইসিসির দায়িত্ব ছাড়া এত সহজ হবে না তার জন্য।
পাপন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইসিসির আবার এ নিয়ে বেশকিছু নিয়মকানুন আছে। ওদের বেশকিছু কমিটিতে আমি আছি। বিশেষ করে চেয়ারম্যানও আছি।
ওরা আবার এটা পরিবর্তন করে না। মেয়াদ শেষ করার আগে নতুন কাউকেও নেয় না। সামনের বছর তো এমনিতেই করতাম। চেষ্টা করব, এ বছর শেষ করা যায় কি না।’
২০১২ সালের অক্টোবর মাসে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সর্বোচ্চ পদধারী তিনি।
টানা চতুর্থ মেয়াদে তিনি এই দায়িত্বে রয়েছেন। সবশেষ ২০২১ এর নির্বাচনে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হন তিনি। সেখান থেকে পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হন পাপন। যে কমিটির মেয়াদ ২০২৫ পর্যন্ত।