নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে মার্কিন কংগ্রেসের চিঠি

অবাধ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ও মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান!

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একাধিক প্রভাবশালী সদস্য।

২৩ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্যাডে পাঠানো এ চিঠিতে তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

চিঠিতে জাতীয় সংকটকালে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। একই সঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় প্রাণহানির বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনের কথাও তারা উল্লেখ করেন। এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত দায় নির্ধারণের পরিবর্তে কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর সামষ্টিক দায় আরোপ করা মানবাধিকার ও সংগঠনের স্বাধীনতার মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার অথবা ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। তারা বলেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনই বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রধান পথ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।

চিঠিতে স্বাক্ষর করেন হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির র‌্যাঙ্কিং মেম্বার গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সাবকমিটির চেয়ারম্যান বিল হুইজেঙ্গা, সাবকমিটির র‌্যাঙ্কিং মেম্বার সিডনি কামল্যাজার-ডোভ, কংগ্রেস সদস্য জুলি জনসন এবং থমাস আর সুয়োজ্জি।