যুক্তরাষ্ট্রে তীর-ধনুক হামলা ও আগুনের ঘটনায় দীর্ঘ স্ট্যান্ডঅফ, অবশেষে গ্রেপ্তার

নিউ জার্সির কিয়ার্নিতে এক ব্যক্তি তীরবিদ্ধ হত্যার পর নিজ বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে পুলিশের সঙ্গে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উত্তেজনাপূর্ণ স্ট্যান্ডঅফ চালান।
বিশ্ব ডেস্ক: নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র – যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের কিয়ার্নি শহরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিয়ার্নি অ্যাভিনিউ ও জনস্টন অ্যাভিনিউয়ের সংলগ্ন হেয়ার স্যালনের বাইরে তীরবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৩৫ বছর বয়সী পাবলো ক্রিওলো (Pablo Criollo)। তিনি হ্যারিসন শহরের বাসিন্দা ছিলেন।
ঘটনার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালিয়ে নিজের বাড়ি (২০ কিয়ার্নি অ্যাভিনিউ) তে আশ্রয় নেন। তিনি বাড়ির দরজা বন্ধ করে ব্যারিকেড তৈরি করেন এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ এড়াতে দীর্ঘ সময় অবস্থান নেন। হাডসন কাউন্টি রিজিওনাল SWAT টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাড়ির ভিতরে আগুন জ্বালান। আগুনে বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এবং ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকা কুঁড়ে কুঁড়ে ঘিরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও SWAT টিম চারপাশ ঘিরে রাখে। কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি দুইটি আলাদা জায়গায় আগুন জ্বালান। পরিস্থিতির কারণে স্থানীয়দের ঘরে থাকতে বলা হয় এবং কিছু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়।
দীর্ঘ স্ট্যান্ডঅফ প্রায় ১২–১৮ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে। SWAT টিম বারবার সন্দেহভাজনকে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি বারবার চিৎকার করে বলছিলেন, “আমি বের হতে পারছি না।” অবশেষে রোববার বিকেলে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। বের হওয়ার সময় তার মুখে কালি লেগে ছিল, মাথায় লাল ব্যান্ডানা, হাতে ছুরি ছিল। পুলিশ তাকে নিয়ন্ত্রণে নেয়।
হাডসন কাউন্টি প্রসিকিউটরস অফিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সন্দেহভাজনের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তার বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক অভিযোগ আনা হবে বলে জানা গেছে। হামলার মোটিভ এখনো অজানা, তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনের সঙ্গে আগেও ছোটখাটো বিরোধ ছিল।
ক্রিসমাসের কয়েকদিন আগে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার ফলে কিয়ার্নি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও শোকের ছাপ দেখা দিয়েছে।






