নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১২৮ জন নিহত

বিশ্ব ডেস্ক : নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১২৮ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নেপালের ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে কারনালি প্রদেশের জাজরকোট জেলায় শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি।

তবে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭; আর ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৬ মাত্রার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে নেপালের ওই ইলাকার বহু বাড়িঘর ধসে পড়েছে।

হরিশ চন্দ্র শর্মা নামে জাজারকোটের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এই জেলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন, এছাড়া পাশের পশ্চিম রুকুম জেলায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা নমরাজ ভট্টরায়।

জাজারকোটে আহত অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা সুরেশ সুনার।

কর্মকর্তারা বলছেন, এক লাখ ৯০ হাজার জনঅধ্যূষিত জাজারকোট মূলত পাহাড়ি এলাকা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এখানকার গ্রামগুলো বেশ দুর্গম। উদ্ধারকর্মীরা রমিদন্দতে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

“ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকারী দলগুলোকে পৌঁছাতে হলে ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া পথগুলো আগে পরিষ্কার করতে হবে,” বলেন নমরাজ ভট্টরায়।

ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক বার্তায় তিনি দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরুরও নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কম্পন ৬০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এক্স প্ল্যাটফর্মে আসা কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির বহু বাসাবাড়ি ছেড়ে মানুষ খোলা জায়গার বেরিয়ে আসেন।

এর আগে নেপালে ২০১৫ সালে দুইটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল নয় হাজারের মতো মানুষ। সে সময় কয়েকটি শহর, শতবছরের পুরনো অনেক মন্দির, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা পুরো মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল ১০ লাখের বেশি বাড়িঘর।