হাদির খোঁজ নিতে ঢামেকে মানুষের ঢল, হাউমাউ করে কাঁদছেন সহযোদ্ধারা

টুইট ডেস্ক: গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢল নেমেছে ইনকিলাব মঞ্চ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা হাদির শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন খবর শুনে তাদের অনেককে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছেন। সবার একটাই চাওয়া, সৃষ্টিকর্তা যেন ওসমান হাদিকে ফিরিয়ে দেন।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগ, ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার, আইসিইউ করিডোর ও হাসপাতালের প্রতিটি কোণ জুড়ে একই দৃশ্য- উৎকণ্ঠা, কান্না, আর এক ধরনের গভীর অসহায়ত্ব। ইনকিলাব মঞ্চ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ-হাদিকে এক নজর দেখতে সবাই ছুটে এসেছেন। হাসপাতালের বাইরে চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন হাজারও মানুষ। হাসপাতালের আইসিইউর সামনে অপেক্ষমাণ হাদির রাজনৈতিক সহকর্মীরা। কেউ কথা বলতে পারছেন না, কেউ চুপচাপ দেয়ালে হেলান দিয়ে কাঁদছেন।

শুধু তার দলই নয়, সহমর্মিতা জানাতে এসেছেন নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের মানুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারের সামনে নেতাকর্মীদের কাঁধে হাত রেখে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহকে কাঁদতে দেখা গেছে। তাকে দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা গেছে। পাশেই হতবিহ্বল অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাত রশিদকেও।

ঢাকা মেডিকেলের সামনে অপেক্ষমাণ সব নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া, আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখুক হাদিকে।

রাকিব হাসান নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার মানে হচ্ছে জুলাই বিপ্লবীদের ভয় দেখানো। কিন্তু হাদি ভাই ইতোমধ্যে লাখো মানুষের মন জয় করে ফেলেছেন। সব স্তরের মানুষ তাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসেন। এভাবে তাকে থামানো যাবে না।