মোহাম্মদপুর হত্যাকাণ্ড: মায়ের চিৎকারে ঘুম থেকে ওঠে মেয়ে

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ও স্বামী গ্রেপ্তার
টুইট ডেস্ক: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা (২০) এবং তার স্বামী রাব্বি শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। বুধবার সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা স্বীকার করেছে যে চুরির অভিযোগে অপমানিত হওয়া ও ক্ষোভ থেকেই সে লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়া (১৫)-কে হত্যা করেছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন আয়েশা বাসার মালামাল চুরি করার চেষ্টা করছিল। গৃহকর্ত্রী তাকে ধরে ফেললে এবং পুলিশকে ফোন দিতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে লায়লাকে হত্যা করে। মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে নাফিসা ড্রয়িংরুমে আসে; তাকে লক্ষ্য করে আয়েশা উপরের দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে। এরপর তিনি স্কুল ড্রেস পরে পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তারকালে আয়েশার কাছ থেকে ৬ ভরি স্বর্ণ, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন এবং হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদপুর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও গোপন তথ্যের সূত্রে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে নলছিটির দাদা-শ্বশুরের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল এবং তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ৮ ডিসেম্বর, সোমবার। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাত, আর মেয়ের শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই দ্বৈত হত্যাকাণ্ড ইতোমধ্যে এলাকায় এবং সারাদেশে গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ মামলার তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে এবং ঘটনার পেছনের প্ররোচনা ও সহযোগীদের খোঁজে তৎপর রয়েছে।
মোহাম্মদপুরের স্থানীয়রা বলেন, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে।






