ঢাকায় বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

ঢাকায় বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের ১২তম রাউন্ড শুরু

টুইট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের ১২তম রাউন্ড আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি)-এ শুরু হয়েছে।

ছবি: এক্স

দুই দিনব্যাপী (১০–১১ ডিসেম্বর) এই সংলাপে অস্ত্র সংগ্রহ, শান্তিরক্ষা মিশন, প্রশিক্ষণ, যৌথ সামরিক মহড়া এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম কৌশলগত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সংলাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড (ইউএস ইন্দোপ্যাকম)-এর একটি সাত সদস্যের ডেলিগেশন ইতোমধ্যে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারাহ রাস, যিনি ইন্দোপ্যাকমের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিসি ডিরেক্টরের মোবিলাইজেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ছবি: সংগৃহি ; প্রকাশের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, মার্কিন দূতাবাস-ঢাকা

বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এএফডি-র অপারেশনস অ্যান্ড প্ল্যানস ডিরেক্টরেটের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলিমুল আমিন।

দ্বিপাক্ষিক এ প্রতিরক্ষা সংলাপ ২০১২ সালে একটি যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং প্রতি বছর বিকল্পভাবে দুই দেশে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ১১তম রাউন্ড ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের আলোচনায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, সমুদ্র নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ ও মোকাবিলা সক্ষমতা—এসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

২০২৫ সালে দুই দেশের মধ্যে টাইগার শার্ক, টাইগার লাইটনিং, এবং প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল—এই তিনটি সফল যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ধারাবাহিকতা আরও জোরদার করেছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশ, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সহযোগিতা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে পেট্রোল বোট, এমআরএপি যান, এবং বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, যা শান্তিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সংলাপকে ঘিরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই বৈঠক কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পথ সুগম করবে।