ব্রুনাই হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াত আমীরের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জামায়াত আমীর ও ব্রুনাই হাইকমিশনারের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ।

টুইট ডেস্ক: আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসাইয়িদি হাজি ওসমান।

বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাই হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রোজাইমি বিন আব্দুল্লাহ, আর জামায়াতের পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মিয়া গোলাম মাহমুদুল হাসান।

অত্যন্ত আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে । ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গত দেড় দশকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪-এর গণবিপ্লবে জামায়াতে ইসলামীর “গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকা”, বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা, দুই দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও স্বার্থরক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা।

হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান বলেন, “বাংলাদেশ ও ব্রুনাই ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ। দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য রয়েছে। আগামীতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে আমরা আরও কাছাকাছি কাজ করতে চাই।” আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “ব্রুনাই একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ মুসলিম রাষ্ট্র। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। আমরা আশা করি, আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”

বৈঠক শেষে হাইকমিশনার জামায়াত আমীরকে ব্রুনাই সুলতানের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানান এবং উভয়পক্ষ উপহার বিনিময় করেন।

২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। গত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাতার, সৌদি আরবসহ প্রায় ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার জামায়াত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

ব্রুনাই বাংলাদেশের অন্যতম বড় এলএনজি সরবরাহকারী দেশ; ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের এলএনজি সরবরাহ করেছে।

বৈঠকটি প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয় এবং উভয়পক্ষই এটিকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হিসেবে অভিহিত করেছেন।