বান্দরবানে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে জরুরি সভা

বান্দরবানে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
বান্দরবান, ৯ নভেম্বর ২০২৫ (রোববার)

অসীম রায় (অশ্বিনী), বান্দরবান: জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আজ রোববার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে বান্দরবান জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মিজ শামীম আরা রিনি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার), পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জেএসএস (সন্তু গ্রুপ), ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

পুলিশ সুপারের বক্তব্য

সভায় পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন,
“বান্দরবান জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পার্বত্য এলাকার ভৌগোলিক জটিলতা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কারণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সকলের পারস্পরিক সহযোগিতা ও নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব।”

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রুমা-থানচি-রোয়াংছড়ি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা

জেলা প্রশাসক মিজ শামীম আরা রিনি বলেন,
“আসন্ন শীত মৌসুমে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, জঙ্গি কার্যক্রম বা আঞ্চলিক গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ্য করা হবে না। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

তিনি পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন।

অন্যান্য আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সাম্প্রতিক ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখা, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্তে চোরাচালান রোধ, শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে নিরাপত্তা পরিকল্পনা।

রাজনৈতিক নেতাদের মতামত

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান বলেন, “সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা প্রস্তুত। তবে স্থানীয় জনগণের অধিকারও সুরক্ষিত রাখতে হবে।”

সভা শেষে সকলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।