বান্দরবানে সরকারি গাছ কেটে ফেলায় তদন্তে সওজ

বান্দরবানে সওজের ৫০ লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ।

সরকারি সম্পদ লুটের শামিল—দাবি স্থানীয়দের।

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ৯টি মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আশরাফ উল্লাহ বাচ্চুর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে ৭ নভেম্বর বান্দরবান সদরের মেঘলা মৃত্তিকা অফিস সংলগ্ন এলাকায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের পাশে সওজের মালিকানাধীন জায়গায় অন্তত ৫০ বছর বয়সী মেহগনি, গামারি ও কড়ই গাছ ছিল। এসব গাছ সড়ক রক্ষায় প্রাকৃতিক বাঁধ হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি আশরাফ উল্লাহ বাচ্চুর নেতৃত্বে শ্রমিকরা ৭টি গাছ কেটে ফেলেছে এবং আরও ২টি অর্ধেক পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে।

গাছ কাটার আগে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি, যা সরকারি সম্পদ লুটের শামিল বলে দাবি স্থানীয়দের। গাছ কাটায় বাধা দিলে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শ্রমিকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন যে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু বলেন, “যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো আমার নিজের জমির ভেতরে ছিল। সেনাবাহিনী সীমানা পিলার বসিয়েছে। তবে গাছ কাটার আগে বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়নি।”

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার এসআই আলাউদ্দিন বলেন, “সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বন বিভাগ ও সওজের সঙ্গে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সওজের সহকারী প্রকৌশলী অং শৈ প্রু মারমা জানান, “যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো সওজের সীমানার ভেতরেই পড়েছে। তাই বন বিভাগ, পুলিশ ও নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমোদন নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি জেনেছি। তদন্তের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের আশঙ্কা, পুরোনো এসব গাছ কেটে ফেলার কারণে বর্ষা মৌসুমে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের ওই অংশে ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে।