মেক্সিকোতে ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক অভিযান পরিকল্পনা

কার্টেল ধ্বংসে ড্রোন ও বিশেষ বাহিনী প্রস্তুত।
সিনালোয়া ও কার্টেলের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক কৌশল, মেক্সিকো সরকার বিরোধী অবস্থান জানিয়েছে।
বিশ্ব ডেস্ক: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মেক্সিকোর শক্তিশালী মাদক কার্টেল, বিশেষ করে সিনালোয়া কার্টেল এবং কার্টেল দে জালিস্কো নুয়েভা জেনারেলিয়ন (CJNG)-কে লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে।
মূল লক্ষ্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেনটানিলসহ মারাত্মক মাদকের প্রবাহ বন্ধ করা, যা দেশে মাদকাসক্তি সঙ্কটের অন্যতম প্রধান কারণ।
পরিকল্পিত অভিযানের মূল কৌশলগুলো হলো;
ড্রোন হামলা: কার্টেলের মাদক ল্যাব, সদস্য ও নেতাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ।
বিশেষ বাহিনী ব্যবহার: মার্কিন সেনাবাহিনীর JSOC এবং CIA-এর গোয়েন্দারা মিশনে অংশ নেবেন।
গোপনীয় অভিযান: অভিযানটি টাইটেল ৫০ স্ট্যাটাসের অধীনে রাখা হবে, যার অর্থ বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসবে না।
আইনি ভিত্তি: সিনালোয়া ও অন্যান্য কার্টেলকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (FTO) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মেক্সিকোর সরকার এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে। প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে মেক্সিকোর সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের কোনো আপস হবে না। দেশটি কোনো বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না এবং এ ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রাখবে।
বর্তমানে মেক্সিকোর অভ্যন্তরে বড় ধরনের সামরিক মোতায়েন শুরু হয়নি, তবে ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকপাচারকারী জাহাজের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের অভিযান বাস্তবায়িত হলে তা দুই দেশের সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক সার্বভৌমত্ব নীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।







