থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী

থাই-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি: লাদ ইয়া বিশেষ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অভিবাসন ও চোরাই রোধে সাফল্য।
বিশ্ব ডেস্ক: থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর সুরসী গোষ্ঠীর অধীনে থাকা লাদ ইয়া বিশেষ বাহিনী সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ রোধে নতুন করে বিশেষ পাহারা অভিযান শুরু করেছে। কানচনবুরি জেলার থংফা ফুমি, তাই ইয়ক, সাংখালাবুরি ও মুনগ এলাকায় এই অভিযান চলছে।
লক্ষ্য—মিয়ানমার সীমান্তে বেড়ে যাওয়া অবৈধ অভিবাসন, মাদক ও চোরাই পণ্যের প্রবাহ বন্ধ করা।
এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে যুদ্ধকৌশল নিয়ন্ত্রণ ইউনিট ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায়। থাই সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট @armypr_news-এ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ানো হয়েছে টহল, গোয়েন্দা নজরদারি ও আটক অভিযান।
সাম্প্রতিক অভিযান ও সাফল্য
অক্টোবর মাসে এই বাহিনী মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ১৬২ জন শ্রমিককে আটক করেছে, যারা মালয়েশিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে ৩০ থেকে ৬৫ হাজার বাট পর্যন্ত অর্থ দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছিল।
৭ অক্টোবর সাংখালাবুরিতে একটি রাবার বাগান থেকে ৫,০০০ প্যাকেট চোরাই সিগারেট (মূল্য ৪.৫ মিলিয়ন বাট) উদ্ধার করা হয়।
১১ অক্টোবর কানচনবুরিতে একটি ট্রাক থেকে ১০৮ জন অবৈধ শ্রমিক ধরা পড়ে—তাদের মাছের টিনের আড়ালে লুকানো হয়েছিল।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে আরও ৪৩ থেকে ৫২ জন অবৈধ শ্রমিক ও একজন ৬১ বছর বয়সী ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৯৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
নিরাপত্তা জোরদারে সেনাবাহিনীর অঙ্গীকার
লাদ ইয়া বিশেষ বাহিনী নবম রাইফেল ব্রিগেডের অধীনে পরিচালিত হয়। এই বাহিনী সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ব্রিগেড কমান্ডার প্লটি নাটথপং অস্বিনভং বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য শুধু আইন প্রয়োগ নয়—বরং সীমান্ত অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ রাখা।”
থাইল্যান্ড সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ রোধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।






