বান্দরবানে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রেংনয়া মুরুংকে উদ্ধারে দাবী অব্যাহত

বান্দরবানে নিখোঁজ ছাত্র রেংনয়া মুরুংকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ।

বান্দরবান প্রতি‌নি‌ধি: বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রেংনয়া মুরুং (রেংনয়া ম্রো) নিখোঁজের ৫০ দিন পার হলেও এখনো তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে সে স্কুলের হোস্টেল থেকে নিখোঁজ হয়। পরিবারের দাবি—স্কুল ও হোস্টেল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং প্রশাসনের শৈথিল্যের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।

রেংনয়ার বাবা সিং পাশ মুরুং ২৭ সেপ্টেম্বর বান্দরবান সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, হোস্টেল সুপারসহ কেউ হয়তো মানবপাচারকারীদের হাতে ছেলেকে তুলে দিয়েছেন।

আজকের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

সোমবার (৩ নভেম্বর) , বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ম্রো ছাত্র সংগঠন (বিএমএসএ)-এর আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন তনয়া ম্রো। বক্তব্য রাখেন দেওয়া ম্রো, নেসসন ত্রিপুরা, থোয়াই অংসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা।

প্রতিবাদকারীদের দাবি

রেংনয়া মুরুংকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

স্কুল-হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মানবপাচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রতিবাদকারীরা বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরা বাধ্য হয়েছি রাস্তায় নামতে।”

পুলিশ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে-এর নেতৃত্বে তিনটি পৃথক টিম অনুসন্ধানে কাজ করছে।

হোস্টেল সুপার আরসাদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও সহকারী সুপার সুনীল ত্রিপুরাকে শোকজ করা হয়েছে। অভিযোগ—হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও অবহেলা ছিল।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, রেংনয়ার শেষ উপস্থিতি ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেকর্ডে আছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু তালেব বলেন, “ছাত্রটিকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কাজ করছে।”

তবে এখনো কোনো নতুন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবার ও সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, ছাত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।