আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ৭, হতাহত বাড়ার শঙ্কা

টুইট ডেস্ক: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাত জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া ১৫০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, স্থানীয় সময় রোববার (২ নভেম্বর) রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলের মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলমে ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সামাঙ্গান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সামিম জোয়ানদা রয়টার্সকে জানান, ‘সকাল পর্যন্ত মোট ১৫০ জন আহত ও সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।’

মাজার-ই-শরীফের বাসিন্দারা মাঝরাতে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। ভূমিকম্পের প্রভাবে বাড়ি ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় ছিলেন তারা।

বালখ প্রদেশের মুখপাত্র হাজি জায়েদ জানান, ভূমিকম্পে মাজার-ই-শরিফের পবিত্র মাজারের (ব্লু মসজিদ) একটি অংশ ধ্বংস হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা এবং ভবনের ধ্বসে পড়া অংশের বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি শেয়ার করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে কয়েকটি মরদেহ টেনে বের করছেন।

ইউএসজিএসের স্বয়ংক্রিয় ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা কমলা সতর্কতা জারি করেছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এবং এই দুর্যোগটি ব্যাপক হতে পারে।’

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৩ বলে উল্লেখ করেছে।

গত কয়েক মাসে একটার পর একটা ভূমিকম্প আঘাত হানছে আফগানিস্তানে। গত ২৪ অক্টোবর ভোরে আফগানিস্তানে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এতে হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি।

তার আগে গত ১৭ অক্টোবর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পন অনুভূত হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরেও। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.০। তাতে দু’হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন আরও প্রায় তিন হাজার মানুষ।