ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক বৈঠক

বিএনপি–যুক্তরাজ্য আলোচনায় নির্বাচনী স্বচ্ছতা প্রশ্নে জোর। সারাহ কুক–ফখরুল বৈঠকে গণতন্ত্র ও কূটনীতি কেন্দ্রবিন্দুতে।

ঢাকা, ২৮ অক্টোবর ২০২৫:

টুইট প্রতি‌বেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ সোমবার দুপুরে একটি কূটনৈতিক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক (Sarah Cooke)।

আলোচনার মূল বিষয়

সাক্ষাতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। বিএনপি নেতারা যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি দলকে দেশে নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সাক্ষাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্ব দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খাসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ূন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আওয়াল।

রাজনৈতিক সূত্র জানায়, বিএনপি প্রতিনিধিদল নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশন প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মতবিনিময় করে।

যুক্তরাজ্যের বার্তা

হাইকমিশনার সারাহ কুক এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ তাঁর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট @HCSarahCooke থেকে পোস্ট করে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন,

“যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অংশীদারিত্ব ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এই পোস্টটি ব্রিটিশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট @UKinBangladesh থেকেও শেয়ার করা হয়, যেখানে #BNP, #Bangladesh, #UKinBangladesh, ও #Diplomacy হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সারাহ কুক গুলশানের ফিরোজা রেসিডেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এছাড়া ২০২৫ সালের জুন মাসে তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও এক দফা বৈঠক করেন, যেখানে লন্ডনের আলোচনার ফলোআপ এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহায়তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

বিএনপির প্রতিক্রিয়া

বিএনপির মিডিয়া সেলের একটি সূত্র জানিয়েছে,

“এই সাক্ষাৎ আমাদের কূটনৈতিক যোগাযোগের ধারাবাহিকতা। আমরা আশা করি যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

দলটির একাধিক নেতা জানান, এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক আগ্রহ ও উদ্বেগের প্রতিফলন, যা আসন্ন নির্বাচনের আগে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের এই সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি শুধু বিএনপির কূটনৈতিক যোগাযোগ নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সক্রিয় অবস্থানের প্রতিচ্ছবি।