পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে পিসিজেএসএসের আন্দোলন

বান্দরবানে শিক্ষিকার গণধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বান্দরবান প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিজেএসএস)-এর বান্দরবান জেলা শাখা সোমবার সকালে শহীদ আবু সাঈদ মুক্ত মঞ্চ চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনের মূল লক্ষ্য ছিল বান্দরবানে এক শিক্ষিকার উপর সংঘটিত গণধর্ষণ এবং স্থানীয় কার্বারী (আদিবাসী নেতা)দের প্রথাগত বিচার ব্যবস্থার নামে ঘটনাটি ঢাকাঢাকি করার চেষ্টা প্রতিরোধ করা।
এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবান ঘটনার পাশাপাশি মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য জেলার নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোও তুলে ধরা হয়। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে এক প্রতিবন্ধী মারমা নারী, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় এক ত্রিপুরা কিশোরী এবং পানছড়িতে এক চাকমা নারী শিক্ষিকা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার প্রথাগত বিচারের নামে ঢাকাছাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
মানববন্ধনে শত শত ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য অংশ নেন। তারা হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, স্লোগান দেন এবং “গণধর্ষণের বিচার চাই” ও “প্রথাগত বিচারে নারী নির্যাতন বন্ধ করো” ব্যানার বহন করেছেন। মানববন্ধনের মূল দাবিগুলো ছিল: সকল অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার, প্রথাগত বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ বন্ধ, আদিবাসী নারীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ পুলিশ ইউনিট গঠন এবং ভুক্তভোগীদের মানসিক ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
মঞ্চ থেকে বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে নারী নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে এবং প্রথাগত ব্যবস্থা আধুনিক আইনের উপরে নয়। সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়, প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি এবং পিসিজেএসএস জেলা প্রশাসকের কাছে দাবিপত্র জমা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
মানববন্ধনটি পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী অধিকার আন্দোলনকে নতুন গতি দিয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গণধর্ষণের তদন্তের কোনো নতুন আপডেট এখনও প্রকাশিত হয়নি।
এর আগে রুমা এলাকায় নাবালিকা ধর্ষণের প্রতিবাদে পিসিজেএসএস-এর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা প্রকাশ করে।






