বান্দরবানে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানববন্ধন: মিথ্যা অপপ্রচার ও ধর্মীয় উস্কানির প্রতিবাদ

অপপ্রচার ও ধর্মীয় উস্কানির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি।
বান্দরবান প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রামে “জোড়পূর্বক খ্রিস্টানকরণের মাধ্যমে খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা” সংক্রান্ত মিথ্যা ও উস্কানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন করেছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়।
শনিবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে ‘সপ্তরের খ্রিস্টান সম্প্রদায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা’ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ধর্মকে ঘিরে উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, খ্রিষ্টান করণের নামে এনজিওদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে।”
তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসন সবসময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে। বক্তারা বলেন, খ্রিষ্টান মিশনারি ও দাতা সংস্থাগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক উন্নয়নমূলক কাজ করে—ধর্মান্তর করাই তাদের উদ্দেশ্য নয়।
বক্তারা আরও জানান, ত্রিপুরা ও বম সম্প্রদায়ের মানুষ শত শত বছর ধরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। তাই তাদের ‘নতুন করে খ্রিষ্টান বানানোর’ অপপ্রচার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বরং স্বাধীনতার পর থেকে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে ত্রিপুরা ও ম্রো সম্প্রদায়ের অনেককে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
তারা আরও বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে না পেরে ধর্মকে ব্যবহার করে উস্কানি ও বিভাজন সৃষ্টি করছে। আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে নয়, বরং সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই।”
মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল নানা লেখা প্ল্যাকার্ড—“ধর্মীয় উস্কানি বন্ধ করো”, “এনজিওদের হয়রানি বন্ধ করো”, “মানবিক উন্নয়নই আমাদের কাজ” প্রভৃতি স্লোগান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জন ত্রিপুরা, লেলুং খুমী, দীনেন্দ্র ত্রিপুরা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লালজার লম বম প্রমুখ।






