রোয়াংছড়িতে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে গণসংযোগ

রোয়াংছড়িতে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সদস্য সংগ্রহ ও গণসংযোগ: পাহাড়ে নতুন উদ্দীপনা।

বান্দরবান প্রতি‌নি‌ধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারাদেশে ‘রেইনবো নেশন’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ, নবায়ন ও গণসংযোগ কর্মসূচি জোরদার করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও গণসংযোগ সভা।

রোয়াংছড়ি কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিশু পার্ক প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী ও স্থানীয় পাহাড়ি জনগণ অংশ নেন।

শোভাযাত্রার ব্যানার ও স্লোগানে ছিল— ‘৩১ দফা বাস্তবায়ন’, ‘রেইনবো নেশন’, ‘জনগণের অধিকার আদায়’—এর মতো বার্তা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাবেদ রেজা। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মা ম্যা চিং। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুসাইমং, জসিম উদ্দীন তুষার, সদস্য চনু মং মারমা সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

জাবেদ রেজা বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে রেইনবো নেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশ গড়তে চাই। পাহাড় বাংলাদেশের অলংকার—এ অঞ্চল বাদ দিয়ে জাতির অগ্রগতি কল্পনাও করা যায় না।”

তিনি আরও জানান, “৩১ দফা রূপরেখা হচ্ছে জনগণের অধিকার আদায়ের বাস্তব রোডম্যাপ। পাহাড়ের মানুষ এখন রাজনৈতিকভাবে আরও সচেতন হচ্ছে—তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা রাষ্ট্র মেরামতের আন্দোলনকে শক্তিশালী করব।”

মা ম্যা চিং তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই রেইনবো নেশন ধারণা বাংলাদেশের সব জাতি, ধর্ম ও সংস্কৃতিকে একসূত্রে গাঁথবে। সুন্দরবন থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত ঘরে ঘরে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।”

২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঘোষিত বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’তে সংবিধান সংস্কার, গণতান্ত্রিক রূপান্তর, সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা, স্থানীয় সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ, নারী ক্ষমতায়ন, কৃষির উন্নয়ন এবং জলবায়ু ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দলটি একে “জনগণের অধিকার আদায়ের রূপরেখা” বলে অভিহিত করেছে।

২০২৪ সালের শেষভাগ থেকে শুরু হওয়া এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে কেন্দ্র করে বিএনপি ২০২৫ সালের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ৩৬ দফা প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর এই কর্মসূচি আরও গতিশীল হয়েছে।

রোয়াংছড়ির এই সফল আয়োজন পাহাড়ি অঞ্চলে বিএনপির উপস্থিতি দৃশ্যমান করেছে এবং স্থানীয় যুবসমাজে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দলীয় নেতারা জানান, সামনে আরও কয়েকটি উপজেলায় অনুরূপ সভা ও গণসংযোগ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।