বান্দরবানে ১৩ শিক্ষক বেতন নিয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত: বিভাগীয় মামলা নির্দেশ

বান্দরবানের আলীকদমে ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা: তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ।
বান্দরবান প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অনুপস্থিতি ও বেতনভাতা আত্মসাতের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই এই নির্দেশ জারি করেন।
তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষকরা বছরের অর্ধেক সময়েরও কম বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, কেউ কেউ আবার ‘প্রক্সি শিক্ষক’ পাঠিয়ে বেতন উত্তোলন করতেন। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় অভিভাবক ও সমাজকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিণয় চাকমা বলেন, “তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিভাগীয় মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
অভিযোগের আওতায় থাকা তিনটি বিদ্যালয় হলো,
রেংপুং হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকসহ ৫ জন।
রাইতুমণি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৩ জন সহকারী শিক্ষক।
মেনকিউ মেনকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৫ জন শিক্ষক, যার মধ্যে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রাজীব ম্রোও রয়েছেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, এসব শিক্ষক মাসে গড়ে মাত্র ১০-১২ দিন ক্লাসে উপস্থিত থেকেও সম্পূর্ণ বেতন নিয়েছেন।
আলীকদম উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “এই পদক্ষেপ শিক্ষকদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।”
স্থানীয় অভিভাবক সমিতির সভাপতি রংজন চাকমা বলেন, “আমাদের সন্তানরা দীর্ঘদিন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
সরকারি সূত্র জানায়, বিভাগীয় মামলা শেষ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতি, বেতন কর্তন বা স্থানান্তরের মতো শাস্তি হতে পারে।






