ফের দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার, মুলধন কমেছে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি

টুইট ডেস্ক: টানা পতনের পর জুনের শুরুতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দেশের পুঁজিবাজার। এতে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নতুন করে বিনিয়োগও শুরু করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেটি আর স্থায়ী হয়নি। গেলো মাসের শুরুতে আবারও শুরু হয় দরপতন। দেড় মাসের টানা পতনে সূচক কমেছে ৬শ’ পয়েন্টের মতো। সাধারণ মূল্যসূচক আবারও নেমে এসেছে ৫ হাজার পয়েন্টের ঘরে।

প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার দৈনিক লেনদেন নেমেছে ৪শ’ কোটির ঘরে। বাজার মূলধন কমেছে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। টানা পতনে হতাশ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক প্রতিটি সূচক আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। কিন্তু তার কোনও প্রতিফলন নেই পুঁজিবাজারে। উল্টো টানা দরপতনে তলানিতে নামছে শেয়ারের দাম। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের অযাচিত হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে লেনদেনে।

ফার্স্ট ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আল মামুন বলেছেন, বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বেঁচাকেনা করছে। তাদেরকে আবার চিঠি দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এগুলো মার্কেটে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বাজারকে বাজারের গতিতে চলতে দেয়া উচিত এবং কোনও অবস্থাতেই বাজারে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ অথবা কোনও ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, এ রকম কোনও কাজ করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।

ডিবিএ এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বলেন, যত হস্তক্ষেপ করা হবে, বাজার তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত কিছুদিন হস্তক্ষেপ না থাকায় বাজার ভালোর দিকে যাচ্ছিল বা সুন্দর বাজার দেখতে পাচ্ছিলাম। আবার যখন এটি শুরু হয়েছে বাজার আতঙ্কিত হয়েছে। আসলে হস্তক্ষেপ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, পুঁজিবাজারে তাদের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। তবে কারসাজির মাধ্যমে কেউ শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে কি না সেটি তদারকি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, বাজারে হস্তক্ষেপ যেটা করার সেটা কখনোই করা হচ্ছে না। আমরা আগেই বলেছি, শুধুমাত্র নজরদারি করা হচ্ছে। কারণ, বাজারে লেভেল প্লেয়িং করতে হলে যেই নজরদারি করা দরকার, যে অনুসন্ধান দরকার সেটাই। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নাই বা অন্য চিন্তা করারও দরকার নাই।

গুজবে কান না দিয়ে কোম্পানির আর্থিক আবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।