পাহাড়ি এলাকায় ধর্মান্তর অভিযোগে উত্তেজনা, প্রশাসন তদন্তে

বান্দরবানে ধর্মান্তরের অভিযোগে বিদেশি পর্যটকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রশাসনের দাবি—‘তারা কেবল পর্যটক’।
বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের থানচি এলাকায় অবস্থানরত কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক বিতাড়নের দাবি জানায়।
পিসিএনপি চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান অভিযোগ করেন, “আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু নাগরিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে টাকা দিয়ে ধর্মান্তরিত করছে।” তিনি আরও দাবি করেন,
ভারতের বিশেষ বাহিনী, ইসরায়েলের মোসাদ ও আমেরিকার সিআইএর একটি “খ্রিস্টান রাষ্ট্র” গঠনের ষড়যন্ত্রের অংশ এটি।
হোটেল ডি-মোর-এর ম্যানেজার হ্যাপী মারমা জানান, ১৯ অক্টোবর ১২ জন বিদেশি হোটেলে চেক-ইন করেন এবং পরদিন তারা একটি সেমিনার করেন। পরে জানা যায়, সেই সেমিনারের কোনো প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না।
অভিযোগের বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “৩ জন কোরিয়ান ও ১ জন আমেরিকান নাগরিক বৈধভাবে পর্যটক হিসেবে এসেছেন। কোনো ধর্মীয় কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও জানান, “তদন্ত চলছে, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন অভিযোগে পাহাড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে, যা পর্যটন শিল্পকেও প্রভাবিত করতে পারে। প্রশাসন জানিয়েছে, বিদেশিদের চলাচল ও কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হবে।







