জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ মামলা

টুইট ডেস্ক: জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পুলিশের সঙ্গে জুলাইযোদ্ধাদের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগন থানায় চারটি ও ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে রিমন চন্দ্র বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে শেরে বাংলা থানা পুলিশ। এছাড়াও এ মামালায় প্রায় ছয় শতাধিক মানুষকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক মামালার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,শুক্রবার সংরক্ষিত এলাকায় (সংসদ ভবন এলাকা) জোরপূর্বক প্রবেশ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুম পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে রিমন চন্দ্র বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ধানমন্ডি থানায় একটি মামলার দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

উল্লেখ্য,শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাইযোদ্ধাদের একাংশ জুলাইযোদ্ধাদের স্বীকৃতি, শহীদ ও আহতদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত, সুরক্ষা আইন ও তাদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে- এই তিন দফা দাবি নিয়ে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় কয়েক শ’লোক গেট ভেঙে সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানস্থল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার ভেতরে ঢুকে যায়। প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হবে এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করে পুলিশ। তবে তারা পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে। এরপর লাঠিপেটা করে বের করা হয় তাদের।

এক পর্যায়ে জুলাইযোদ্ধা ও পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ সদস্যদের মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুমে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জুলাইযোদ্ধারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ১০ জন ও জুলাইযোদ্ধাদের ৩৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে এই ঘটনায় জুলাই যোদ্ধা সংসদ নামে একটি সংগঠন শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘পুলিশি হামলা’হিসেবে উল্লেখ করে তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও হামলার প্রতিবাদে রবিবার (১৯ অক্টোবর) সারা দেশে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।