চাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলমান

ভিপি প্রার্থীদের অভিযোগে বিতর্ক

টু্ইট প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ক্যাম্পাসে শত শত শিক্ষার্থী শাটল ট্রেন ও বাসে করে ভোট দিতে এসেছেন, যা নির্বাচনকে উৎসবের রূপ দিয়েছে।

তবে, ভোটারদের আঙুলে দেয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে বলে জালভোটের অভিযোগ উঠেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

ভোটগ্রহণ চলছে, অভিযোগের ছায়া

ভোটগ্রহণের অগ্রগতি: বেলা বাড়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে। পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপিত ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৬১টি কক্ষ ও ৬৮৯টি বুথে ভোট হচ্ছে। ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিকগ্নিশন) ব্যালট পদ্ধতিতে চলছে প্রক্রিয়া। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে, যাতে ভোটগ্রহণ সরাসরি দেখানো হচ্ছে। ভোট গণনা ভোট শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে এবং তাও লাইভ দেখানো হবে।

অমোচনীয় কালির অভিযোগ: ছাত্রদলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, ভোটারদের আঙুলে দেয়া কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে, যা একাধিক ভোটের সুযোগ তৈরি করছে। সাজ্জাদ বলেন, “ভোট দিয়ে বেরিয়ে দেখলাম কালি নেই। এতে জালভোটের সম্ভাবনা বেড়েছে।” ইব্রাহিমও সাংবাদিকদের সামনে কালি মুছে দেখিয়ে বলেন, “অমোচনীয় কালি ব্যবহারের দাবি ছিল, কিন্তু প্রশাসন তা পালন করেনি।” নির্বাচন কমিশনার মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে অমোচনীয় কালি না পাওয়ায় স্থানীয় কালি ব্যবহার করতে হয়েছে।

অনিয়মের অভিযোগ: ছাত্রদল নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিয়েছে, দাবি করে শিবিরকে জিতানোর চেষ্টা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

চবিতে চাকসু নির্বাচন শেষবার হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এটি সপ্তম নির্বাচন। সুষ্ঠুতার জন্য ১,২০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ব্যানার-ফেস্টুন নিষিদ্ধ, এবং স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ব্যবহার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা গান, নাটক ও পারফরম্যান্সের মাধ্যমে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। ফলাফল আজই বা কালকের সকালে ঘোষণা হতে পারে।

এই নির্বাচন ছাত্র রাজনীতির পুনরুজ্জীবনের প্রতীক হলেও, অভিযোগগুলো ফলাফল নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে পারে। পরবর্তী আপডেটের জন্য সংবাদমাধ্যমগুলো অনুসরণ করুন।