গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু

দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর শান্তির পথে গাজা; জিম্মি মুক্তি ও মানবিক সহায়তা চালুর মাধ্যমে নতুন আশার সূচনা।

বিশ্ব ডেস্ক: দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে ধাপে ধাপে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে।

“হাসি-মুখে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা – গাজা থেকে ফিরে আসার আনন্দে যানের ছাদে দাঁড়িয়ে। শান্তির আলো জ্বলে উঠেছে! #IsraeliSoldiers #PeaceInGaza”

একই সঙ্গে চুক্তির আওতায় গাজায় আটক থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত সূত্রে জানা গেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী যৌথভাবে এই চুক্তি অনুমোদন করেছেন। এর ফলে সেনারা নতুন নিরাপত্তা অবস্থানে সরে যাবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় শুরু হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৭,২১১ জন নিহত এবং ১৬৯,৯৬১ জন আহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির ফলে ইসরায়েলি পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে, এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শান্তিচুক্তির কৃতিত্ব দাবি করে বলেছেন, তিনি এ জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। তিনি শনিবার ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা করছেন। তবে নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, “যদি হামাস চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে যুদ্ধ আবার ফিরে আসতে পারে।”

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি সফলভাবে টিকে থাকলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস