রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন তিন ব্যারিস্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর তিনটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিন তরুণ আইনজীবী; তিনজনই ব্যারিস্টার।
তারা হলেন- যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার রেজাউল করিম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর।
ব্যারিস্টার রেজাউল করিম রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর), ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) এবং ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনজনই বয়সে তরুণ, শিক্ষিত ও পেশাগত জীবনে সফল। তারা বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন।
রাজশাহী-৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার রেজাউল করিম দূর্গাপুর উপজেলার আলিপুর গ্রামের সন্তান। স্বল্প সময়েই তিনি ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন মানবিক উদ্যোগের কারণে। অসহায় মানুষের চিকিৎসা সহায়তা, ঝরে পড়া শিশুদের কুরআন শিক্ষা, ক্যান্সার আক্রান্ত বিএনপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, এবং গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের মতো কাজের জন্য স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত “ফেরদৌসী ফাউন্ডেশন” অসচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখছে।
রেজাউল করিম বলেন, “রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী। জনগণের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তীব্র। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি এই অঞ্চলের মানুষের অধিকার ও উন্নয়নে কাজ করবো।”
রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ি সগরপাড়ার বাসিন্দা। তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাতিজা। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিলন বর্তমানে বিএনপির আইনজীবী ফোরামের সক্রিয় নেতা।
তিনি বলেন, “রাজনীতিকে আমি দায়িত্ব হিসেবে দেখি। ছাত্রজীবন থেকেই দলের পাশে থেকেছি, এখন আইনজীবী হিসেবে নেতাকর্মীদের সহায়তা করছি। হাইকমান্ড নিশ্চয়ই এসব বিবেচনা করবেন।”
গোদাগাড়ী-তানোর এলাকার সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ অঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য প্রবল। পাশাপাশি মাদক ও হয়রানিমূলক মামলার সংস্কৃতি সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করেছে। এসব প্রতিকূলতা দূর করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই আমার লক্ষ্য।”
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর। তিনি বাগমারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জুর পুত্র এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মকলেছুর রহমানের ভাতিজা। আইনি পেশায় থেকে তিনি রাজনৈতিক মামলায় আটক নেতাকর্মীদের সহায়তা দিয়ে দলের আস্থা অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি বিএনপির ঘরের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি দলের হয়রানি মামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। আশা করি, দল আমার কাজ ও অবদান বিবেচনা করবে।” সাগর আরও বলেন, “আমার অগ্রাধিকার থাকবে- বাগমারার মানুষ যেন আর প্রতিহিংসা ও দমননীতির শিকার না হয়। দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে এই তিন তরুণ ব্যারিস্টারের জনপ্রিয়তা ও কর্মতৎপরতা রাজশাহীতে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিএনপি হাইকমান্ডও তাদের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, তরুণ ও শিক্ষিত নেতৃত্বের উত্থান রাজশাহীর রাজনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।






