কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা: কল্প জাহাজ ভাসানোর উৎসব

কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৫: কল্প জাহাজ ভাসানোর শান্তিপূর্ণ উৎসব
টু্ইট প্রতিবেদক: কক্সবাজার সদরের কবিতা চত্বর এলাকায় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনে কল্প জাহাজ ভাসানো অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলার আটটি বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে তিনটি কল্প জাহাজ সমুদ্রের জলে ভাসানো হয়, যা প্রায় ১০,০০০ ভক্তের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মে শান্তি, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের প্রতীক। কল্প জাহাজ ভাসানো আচারটি পূর্বজন্মের পাপ মোচন ও শান্তির প্রার্থনার সঙ্গে জড়িত, যা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধকে শক্তিশালী করে।
উৎসবটি নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের ট্রাফিক ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এই বড় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ ভক্তরা। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পরিবেশন করা হয়, যা কক্সবাজারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
স্থানীয় ভক্তরা সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একজন ভক্ত বলেন, “এই উৎসব আমাদের ঐক্য ও শান্তির প্রতীক। সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সমর্থনে আমরা আমাদের ধর্মীয় আচার সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পেরেছি।”
উপসংহার: প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৫ কক্সবাজারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কল্প জাহাজ ভাসানো অনুষ্ঠান শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক আচার নয়, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহযোগিতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।






