যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল সরবরাহ: পাক বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি

পাকিস্তানকে AIM-120 AMRAAM মিসাইল সরবরাহ ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য সম্ভাব্য প্রভাব।
টুইট প্রতিবেদক: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে AIM-120 AMRAAM (C-8/D-3) মিসাইল সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই রাডার-নির্দেশিত, সর্ব-আবহাওয়া সক্ষম মিসাইলের পরিসীমা ১০০ কিলোমিটারের বেশি, যা পাকিস্তানের এফ-১৬ ব্লক ৫২ জেটের আকাশ থেকে আকাশে আঘাতের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে।
এই উন্নত মিসাইল পাকিস্তানের বিমান বাহিনীকে দূরপাল্লার যুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা প্রদান করতে পারে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য সম্ভাব্য প্রভাব
এই সরবরাহ ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF)-এর জন্য কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। IAF-এর বর্তমান দূরপাল্লার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার R-77 এবং রাফায়েল জেটে ব্যবহৃত ইউরোপীয় মিটিওর মিসাইল, যার পরিসীমা ১৫০-২০০ কিলোমিটার।
তবে, AIM-120C-8 মিসাইল পাকিস্তানের এফ-১৬-এর সাথে সমন্বিত হলে প্রযুক্তিগত ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে আনতে পারে।
IAF-এর প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তুতি
ভারতীয় বিমান বাহিনী তার আধুনিকীকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত। সু-৩০ এমকেআই, রাফায়েল, এবং মিরাজ ২০০০-এর সমন্বিত বহর, সংখ্যাগত সুবিধা এবং স্বদেশী অস্ত্র যেমন অস্ত্র মার্ক-১/২ মিসাইল এই হুমকির মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া, ডিআরডিও-র অস্ত্র মার্ক-৩ (পরিসীমা ~১৬০ কিলোমিটার) এবং নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধ কৌশল ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে শক্তিশালী করছে।
যদিও পাকিস্তানের এফ-১৬-এর জন্য AIM-120 মিসাইল সরবরাহ একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন, তবে ভারতের বিমান বাহিনীর বৈচিত্র্যময় ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং কৌশলগত প্রস্তুতি এই হুমকিকে মোকাবেলা করতে সক্ষম।
তবে, এই উন্নয়ন IAF-কে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর ক্ষমতার উপর নজরদারি বাড়াতে প্ররোচিত করতে পারে।






