বিমান বাহিনী প্রধানের তুরস্ক সফর: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের তুরস্ক সফর শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন।

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি, পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষে (৬ অক্টোবর) সোমবার দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তিনি তুর্কি বিমান বাহিনীর কমান্ডারের আমন্ত্রণে ০১ থেকে ০৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত তুরস্ক সফর করেন।

এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে পেশাগত সহযোগিতা জোরদার করা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা।

সফরের সময় এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তুর্কি বিমান বাহিনীর কমান্ডার, তুরস্কের জেনারেল স্টাফ, তুরস্ক প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার সচিব এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এছাড়া, তিনি তুর্কি এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (TAI) সহ তুরস্কের সরকারি ও বেসরকারি সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তিনি তুরস্কের উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা লাভ করেন।

এই সফর বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। এটি দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে পেশাগত সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তুরস্কের উন্নত প্রতিরক্ষা শিল্প, বিশেষ করে TAI-এর উৎপাদিত হুরজেট প্রশিক্ষণ বিমান, কান ড্রোন, এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণে অবদান রাখতে পারে। এই সফরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তুরস্ক থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় বা প্রযুক্তি সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে।

বিমান বাহিনী প্রধান ০১ অক্টোবর, বুধবার ঢাকা ত্যাগ করে তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হন। পাঁচ দিনের সফর শেষে তিনি ০৬ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন। এই সফর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে চীন থেকে জে-১০সিই যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পাশাপাশি তুরস্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা হচ্ছে।

এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসিয়াল ঘোষণা এবং স্থানীয় মিডিয়া প্রতিবেদন থেকে। সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রেস রিলিজ এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) থেকে প্রাপ্ত। তবে, সফরের সময় নির্দিষ্ট কোনো চুক্তি বা সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়নি, যা ভবিষ্যতে প্রকাশিত হতে পারে।

এই সফর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ।