বান্দরবানে কর ও বসতি দিবস-২০২৫ উদযাপিত: ১০ জন করদাতাকে সম্মাননা
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগর সমস্যার সমাধানে নতুন পদক্ষেপ
বান্দরবান প্রতিনিধি: “পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে কর ও বসতি দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা জেলার নগরায়ন, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং স্থানীয় উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। এই দিবসে বান্দরবান পৌরসভার প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হকের নেতৃত্বে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে সেরা ১০ জন করদাতাকে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা নিয়মিত কর সংগ্রহের প্রতি জনগণের আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি বলেন, “পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে নগর সমস্যার সমাধান সম্ভব। নিয়মিত কর প্রদানের মাধ্যমে পৌরসভার আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হবে।” তিনি পৌর প্রশাসকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ বান্দরবানকে একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত করবে।” সভাপতিত্ব করেন পৌর প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, যিনি তার সততা, নিষ্ঠা এবং দৃঢ় মনোবল দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নের ধারাকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন।
এস এম মঞ্জুরুল হকের নেতৃত্বে বান্দরবান পৌরসভা অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে-
নিয়মিত করদাতাদের সম্মাননা: প্রথমবারের মতো সেরা ১০ করদাতাকে পুরস্কার প্রদান, যা অন্যদের উৎসাহিত করবে।
কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ: পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিয়মিত বেতন-ভাতার ব্যবস্থা, যা পূর্বে ছিল না।
নগরায়ন ও সেবা উন্নয়ন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নগর পরিকল্পনায় নতুন প্রকল্প চালু হচ্ছে, যা বান্দরবানবাসীর জীবনমান উন্নত করবে।
মঞ্জুরুল হক বলেন, “আমরা বান্দরবান পৌরসভাকে একটি স্বচ্ছ ও জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলছি। সেরা করদাতাদের সম্মাননা এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা এই প্রক্রিয়ার অংশ।” তিনি আরও জানান, আগামী মাসগুলোতে নতুন প্রকল্প চালু হবে, যা বান্দরবানের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও প্রভাব
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পৌরসভার কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই দিবসটি বান্দরবানে স্থানীয় রাজস্ব বৃদ্ধি এবং পরিকল্পিত নগরায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের পৌরসভাকে আরও শক্তিশালী করবে। নিয়মিত কর প্রদানে আমরা গর্বিত।”
বান্দরবান পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ছিল। এস এম মঞ্জুরুল হকের নেতৃত্বে পৌরসভা নতুনভাবে সংগঠিত হয়েছে। স্থানীয় রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৫ সালে কর সংগ্রহ ১২% বেড়েছে, যা আগের তিন বছরের তুলনায় রেকর্ড। এই তহবিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে। কর ও বসতি দিবস পালন জাতিসংঘের হ্যাবিট্যাট প্রোগ্রামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা টেকসই নগর উন্নয়নের উপর জোর দেয়।
এক্স প্ল্যাটফর্মে (যেমন @tweetnews24) এই অনুষ্ঠানের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টগুলোতে পৌর প্রশাসকের উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। একটি পোস্টে বলা হয়, “বান্দরবান পৌরসভার নতুন চেহারা দারুণ। সততা ও দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছে জেলা।” স্থানীয় সাংবাদিক অসীম রায় (অশ্বিনী) এই খবর শেয়ার করে বলেন, “এরকম সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বান্দরবানের জন্য প্রয়োজন ছিল।” পোস্টটি ৮টি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
এই দিবস ও পৌর প্রশাসকের উদ্যোগ বান্দরবান পৌরসভাকে একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। নিয়মিত কর সংগ্রহ এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের মাধ্যমে জেলার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে। আগামী মাসগুলোতে নতুন প্রকল্প যেমন স্মার্ট সিটি উদ্যোগ, পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সকল পদক্ষেপ বান্দরবানকে পর্যটন ও নগর উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।