তারেক রহমানের বার্তা: আক্রমণ নয়, ইতিবাচক রাজনীতির পথে বিএনপি

টুইট ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতিতে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ ধারা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি প্রতিপক্ষকে আক্রমণ না করে সহযোগিতা ও সংলাপনির্ভর রাজনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বর্তমান রাজনীতি, নির্বাচন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নিজের দেশে ফেরার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, দেশের রাজনীতি হোক প্রতিযোগিতামূলক, তবে তা যেন হয় নীতিনিষ্ঠ ও ভদ্রতার সীমার মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের আস্থা ফিরে পেতে হলে রাজনীতিতে ঘৃণা নয়, সহযোগিতা ও দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘এটি একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়; দল ও জনগণের মতামতের ওপরই তা নির্ভর করবে।
দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি নেতা জানান, তিনি মন-মানসিকতায় সবসময়ই বাংলাদেশে আছেন। বলেন, ‘দ্রুতই দেশে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।
জুলাই আন্দোলনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ তকমা নিয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি নিজেকে কোনো আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড মনে করি না। এটি ছিল জনগণের আন্দোলন-দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, কৃষক, গৃহিণী, ছাত্র, সাংবাদিক, সবাই মিলেই এই আন্দোলন সফল করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের নতুন ধরনের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ফুটে উঠেছে। তারা মনে করছেন, তিনি সংঘাত নয়, সংলাপের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চান। এতে বিএনপি তরুণ ভোটারদের কাছেও ইতিবাচক বার্তা পাঠাতে পারবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছরের প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে চাইছে-এটাই সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট হয়েছে। তারেক রহমান বলেছেন, জনগণই সবচেয়ে বড় বিচারক। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা।
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান বুঝিয়ে দিয়েছেন, জুলাই আন্দোলন কোনো ব্যক্তিনির্ভর ছিল না। জনগণই ছিল সেই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। এটি রাজনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা গড়তে চান। সাক্ষাৎকারে তিনি কোনো পক্ষকে নিয়ে অযথা কটূক্তি করেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের এই বক্তব্য বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে নতুন দিক নির্দেশ করছে-সংঘাত নয়, সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরে পাওয়ার পথে এগোচ্ছে দলটি।





