প্রকৌশলী হারুনের বদলি ও তদন্তের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঠিকাদাররা।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে রাজশাহী ঠিকাদার সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ সরকারি কার্যালয়কে জিম্মি করে রেখেছেন। তিনি গোপনে দরপত্রের রেট ফাঁস করে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেন এবং বিল আটকে রেখে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, অফিস সময়ের তোয়াক্কা না করে তিনি রাতের বেলায় কর্মকর্তাদের বাসভবনে ডেকে কাজ করান। এমনকি অফিসে পোষা কুকুর নিয়ে প্রবেশ করায় কর্মচারীরা আতঙ্কে থাকেন।
বক্তারা দাবি করেন, হারুন অর রশিদ বিভিন্ন সময়ে গোপনে দরপত্রের তথ্য ফাঁস করে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের মার্চে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার প্রতিষ্ঠানের হাতে ১১ কোটি টাকার কাজ হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পূর্ববর্তী অনেক কাজই এখনো অসমাপ্ত থেকে গেছে, যার ফলে জনভোগান্তি বেড়েছে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে হারুন অর রশিদ কাজ বন্ধ করে দেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তাদের দাবি, নিয়ম মেনে কাজের সুযোগ দেওয়া হোক এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বিল পরিশোধের সময় প্রকৌশলী হারুন এক শতাংশ কমিশন নেন, এ কারণে তিনি ‘মিস্টার ওয়ান পারসেন্ট’ নামে পরিচিত হয়েছেন। এছাড়া জামানতের টাকা ফেরত দিতেও তিনি নানা কৌশল অবলম্বন করেন।
আন্দোলনকারীরা দ্রুত তাকে রাজশাহী থেকে প্রত্যাহার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার তারেক, ফিরোজ, হিমেল, শাহীন, সজিব, রবিন, শাকিল, ফরহাদসহ আরও অনেকে।
অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, “আমি নিয়মিত অফিস করি, আজকেও অফিসে আছি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমি কারও দোসর নই। নিয়ম মেনেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বরং ঠিকাদাররা তিন কোটি টাকার বেশি বিল উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন, আমি বিষয়টি ধরে ফেলার কারণেই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”






