বুবলী ও বাদলসহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

বুবলী ও বাদলসহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় ডিবির অভিযান
টুইট ডেস্ক: সন্ত্রাস দমন আইনের অধীনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দুই সাবেক সংসদ সদস্যসহ মোট ১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এই গ্রেপ্তারগুলো সম্পন্ন হয়েছে।
সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি নিষিদ্ধ দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে চলমান আইনানুগ কার্যক্রমের অংশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুই সাবেক সংসদ সদস্য অন্যতম—ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল এবং সংরক্ষিত নারী আসন (৩২৪) থেকে সাবেক এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী। বাকি ১১ জন নেতা-কর্মীর নাম এখনও অফিসিয়ালভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে তারা দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। ডিবির অভিযানগুলো রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, গুলশান এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় ছড়িয়ে ছিল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই অভিযান অপরিহার্য ছিল।” তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই গ্রেপ্তারের পটভূমিতে উল্লেখযোগ্য হলো, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, এবং দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে নাশকতার অভিযোগে সাবেক এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেলসহ ৮-৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। ২০ সেপ্টেম্বর ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজকের অভিযান সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে এবং সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রতিফলিত করছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ততার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আইনজীবীদের মতে, সন্ত্রাস দমন আইনের অধীনে এমন মামলায় ৫ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নেতারা এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে অভিহিত করছেন, যেখানে সরকার এটিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা বলে দাবি করছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এই গ্রেপ্তার ছাড়াও অন্যান্য এলাকায় আওয়ামী লীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
তবে এই ধারাবাহিক গ্রেপ্তার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক না নেতিবাচক, প্রশ্ন সকল মহলের।






