বান্দরবানে মাদকবিরোধী অভিযান: গ্রেপ্তার ৬
“১ লাখ ২৫ হাজার ইয়াবা জব্দ, ছয়জন গ্রেপ্তার”
বান্দরবান প্রতিনিধি: পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলায় পৃথক অভিযানে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ১০ লাখ টাকা এবং দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে দুইজন উপজাতি নারী এবং তিনজন রোহিঙ্গা নাগরিক। এই অভিযান স্থানীয় জনগণকে স্বস্তি দিয়েছে এবং প্রশাসনের মাদকবিরোধী অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে বড় চালান জব্দ
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ, এসআই হক আব্বাসির নেতৃত্বে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চিংথুইপাড়ায় হ্রাথোয়াইছা মারমার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা (ওজন ১০ কেজি ৮০০ গ্রাম), নগদ ১০ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল জব্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— উছাইমে মারমা (১৫) ও মাচিংওয়াং মারমা (৮০)। তবে একজন আসামি পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর আওতায় মামলা (এফআইআর নং-১৭) হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাশরুল হক জানান, “অভিযানটি আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিফলন।”
লামায় চারজন গ্রেপ্তার
একই দিন রাত ১টা ৪৫ মিনিটে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে পৃথক অভিযানে ৫ হাজার ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন— মোঃ হাসান (২৭), তার স্ত্রী ইয়াছমিন আরা (২৪), খতিজা বেগম (৫৫) এবং শাহানু আক্তার (৩৫)। এদের মধ্যে তিনজন রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে লামা থানায় মামলা নং-১১ (তারিখ: ২৮/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত আলামত
নাইক্ষ্যংছড়ি: ১,২০,০০০ ইয়াবা (১০.৮ কেজি), ১০ লাখ টাকা, ২টি মোবাইল
লামা: ৫,০০০ ইয়াবা
নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা মিয়ানমার সীমান্তবর্তী হওয়ায় ইয়াবা চোরাচালানের জন্য কুখ্যাত। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে প্রবেশ করা ইয়াবার ৬০-৭০% এই অঞ্চল দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক অভিযানে পুলিশ প্রমাণ করেছে যে মাদক চোরাচালান দমনে তাদের অবস্থান কঠোর। বান্দরবান জেলা পুলিশ জানিয়েছে, “আমরা জনগণের পাশে, সবসময়।”
স্থানীয় জনগণও পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।