বান্দরবানে জমকালো সমাপনী: সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল-২০২৫

সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল-২০২৫-এ চ্যাম্পিয়ন আলীকদম-০২, রানারআপ নাইক্ষ্যংছড়ি-০১

বান্দরবান প্রতিনিধি: প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা বান্দরবানের পাহাড়-নদীর কোলে রিমঝিম বৃষ্টির ছোঁয়ায় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

ফাইনালে আলীকদম-০২ দল ২-০ গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা অর্জন করে, আর নাইক্ষ্যংছড়ি-০১ রানারআপ হয়।

উদ্বোধন থেকে সমাপনী: এক মাসের জমকালো যাত্রা

১৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল-২০২৫। বান্দরবান সেনা রিজিয়নের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন, বান্দরবান সেনা জোন ও সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের সহযোগিতায় টুর্নামেন্টে আটটি দল অংশ নেয়।

উদ্বোধনী খেলায় লামা উপজেলা দল ৩-০ গোলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল কলেজকে পরাজিত করে। এক মাসের এই আসরে পাহাড়ি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায়।

নাটকীয় ফাইনাল: আলীকদমের দ্বিগুণ গোল

ফাইনালে মুখোমুখি হয় নাইক্ষ্যংছড়ি-০১ ও আলীকদম-০২। রিমঝিম বৃষ্টির মাঝে শুরু হওয়া খেলায় আলীকদমের খেলোয়াড়রা ধারাবাহিকভাবে দুটি গোল করে এগিয়ে যায়। নাইক্ষ্যংছড়ি উত্তেজিত হয়ে খেলায় জটিলতা সৃষ্টি করলেও রেফারির নিয়ন্ত্রণে খেলা সম্পন্ন হয়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে আলীকদম-০২ চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য

পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ান এএফডব্লিউসি, পিএসসি, রিজিয়ন কমান্ডার।

তিনি বলেন, “ফুটবল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এটি তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ, বলিষ্ঠ ও শৃঙ্খলাপরায়ণ করে তোলে। সেনা রিজিয়নের এই আয়োজন ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির অসাধারণ উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেজর এম এম ইয়াসিন আজিজ, সাব জোন কমান্ডার রোয়াংছড়ি ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি। বিশেষ অতিথি লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, পিএসসি, বান্দরবান জোন কমান্ডারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ক্রীড়া সংগঠক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এক দর্শক জানান, “বৃষ্টির মধ্যে খেলা দেখতে সত্যিই আনন্দ লাগে। সেনাবাহিনীর এই আয়োজন তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।” আরেকজন তরুণ বলেন, “এটি শুধু খেলা নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। খেলাধুলার মাধ্যমে সম্প্রীতি আরও মজবুত হবে।”

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ প্রতিযোগিতা পাহাড়ি-সমতলের ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে। তরুণদের খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করবে।