বান্দরবানে জব্দকৃত ১৬ হাজার ঘনফুট পাথর নিলামে বিক্রি

পরিবেশ সংরক্ষণে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ

বান্দরবান প্রতি‌নি‌ধি:।বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় জব্দকৃত ১৬ হাজার ৩০০ ঘনফুট পাথর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এ নিলামে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৫ হাজার টাকায় ঠিকাদার মাওসেতুং তঞ্চঙ্গ্যা পাথরগুলো ক্রয় করেন। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

নিলাম প্রক্রিয়া ও উপস্থিতি

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান কাউছারের উপস্থিতিতে নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়। আগ্রহী ক্রেতাদের নগদ ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে অংশ নিতে হয়। নিলামে উপস্থিত ছিলেন রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম সাকের আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন দেওয়ান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহ্লাঅং মারমা ও বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক নিকু জোতি চাকমা এবং উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলটন দস্তিদার।

২০২০ সালের ২২ মার্চ রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের চক্ষুলাল পাড়ায় অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জব্দ করে। পরে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) এর আদেশে তা উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণে সতর্কবার্তা

গত ৯ সেপ্টেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিমুল সরকার রোয়াংছড়ি উপজেলার বেংছড়ি পাড়ার রখইক্ষ্যং ছড়া পরিদর্শন করে প্রাকৃতিকভাবে জমে থাকা পাথরের ধরণ, আকার ও পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।

তিনি বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের ঝিরি ও ছড়ায় প্রাকৃতিক পাথরগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। এগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
তিনি অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।

উপজেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে তারা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও অবৈধ পাথর উত্তোলন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যয় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।