রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে, যা আজ মঙ্গলবারও দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে চেয়ার পেতে অবস্থান করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসন ভবনের অধিকাংশ দপ্তর তালাবদ্ধ থাকলেও কিছু অফিস খোলা রয়েছে। সকাল ১০টার দিকে বিজয়-২৪ হলে দেখা যায়, অনেক কর্মকর্তা নিয়মিত কাজ করছেন। পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কিছু শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও চোখে পড়ে।
বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “২০ সেপ্টেম্বর আমাদের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ অনেক শিক্ষককে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।”
একইভাবে একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আবু মো. তারেক বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট-উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফেরা সম্ভব নয়।”
এর আগে রাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল হওয়া পোষ্য কোটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ শর্তে পুনর্বহাল করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শনিবার বিকেলে জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর রোববার শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে এক দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
২১ সেপ্টেম্বর রাতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে অফিসার সমিতিও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
এ অবস্থায় রাকসু নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠক করে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে নির্বাচন পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর নতুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।