ইরানের সামরিক আধুনিকায়ন: রাশিয়া–চীনের অস্ত্রশস্ত্রে নতুন শক্তি
ইরানের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি: রাশিয়া–চীন থেকে যুদ্ধবিমান ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যোগ হচ্ছে
বিশ্ব ডেস্ক: ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কমিশনের সদস্য আবলফাজল যোহরেভান্ড সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ঘোষণা করেছেন, রাশিয়া ও চীন থেকে উন্নত যুদ্ধবিমান এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক পরিমাণে ইরানের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “মিগ-২৯ ইতিমধ্যে ইরানে পৌঁছে গেছে। এসইউ-৩৫ আসছে ব্যাপকভাবে। এইচকিউ-৯ও, আলহামদুলিল্লাহ, বড় পরিমাণে আসছে। এস-৪০০ আসলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। … আমাদের শত্রুরা কেবল শক্তির ভাষা বোঝে।”
আবলফাজল যোহরেভান্ড ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনের প্রভাবশালী সদস্য। তিনি নিয়মিতই ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে মন্তব্য করে থাকেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি বলেছিলেন, “ইরান চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক পারমাণবিক বোম তৈরি করতে সক্ষম।” আগস্টে তিনি খোরামশাহর-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি উল্লেখ করে দাবি করেন, মাত্র ১০টি এমন ক্ষেপণাস্ত্র ২-৩টি পারমাণবিক বোমার সমান প্রভাব ফেলতে পারে এবং তা যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার ভেতরেও আঘাত হানতে সক্ষম।
রাশিয়া ও চীনের সহায়তায় ইরান তার বিমানবাহিনী ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দ্রুত আধুনিকায়ন করছে। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান নতুন ব্যাচে ইরানে পৌঁছেছে। যদিও ১৯৯০-এর দশক থেকে এই মডেল ইরানের বহরে রয়েছে, তবে আপগ্রেডের অভাবে তা কার্যকরভাবে সীমিত ছিল। নতুন ব্যাচ ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিরোধে ইরানকে শক্তিশালী করবে।
অন্যদিকে, রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ইরানে আসছে ব্যাপক সংখ্যায়। এই ফাইটার জেট ইরানের বিমানবাহিনীকে উন্নত আকাশযুদ্ধ সক্ষমতা দেবে এবং ইসরায়েলের এফ-৩৫ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চীনের ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ইরান বড় পরিমাণে চীনের এইচকিউ-৯ দীর্ঘপাল্লার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাচ্ছে। এ সিস্টেম স্টিলথ টার্গেট শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম, যা আঞ্চলিক আকাশ প্রতিরক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানে স্থাপিত হয়েছে। এটি বিশ্বসেরা দীর্ঘপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলোর একটি, যা ইসরায়েলি কিংবা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়।