হত্যায় অভিযুক্তকে মাফ করে দিলেন চার্লি কার্কের স্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল শিক্ষার্থী সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ–র প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে মাফ করে দিলেন তার স্ত্রী এরিকা কার্ক। অ্যারিজোনার গ্লেনডেইলের স্টেইট ফার্ম স্টেডিয়ামে গত রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত স্মরণসভায় আবেগঘন ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।

৩১ বছর বয়সী চার্লি কার্ককে গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির মঞ্চে বিতর্ক অনুষ্ঠানের সময় গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার অভিযোগে আটক হন ২২ বছর বয়সী ছাত্র টাইলার রবিনসন। তিনি আগে তার এক বন্ধুকে পাঠানো বার্তায় কার্ককে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, ঘৃণা থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন রবিনসন। তার বিরুদ্ধে aggravated murder, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, সহিংস অপরাধ সংঘটিত করা এবং তদন্তে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

এরিকা কার্ক স্মরণসভায় বলেন, “আমার স্বামী তরুণদের বাঁচাতে চাইতেন, এমনকি যারা পথ হারিয়েছে তাদেরও। তাই আমি চার্লিকে হত্যাকারী তরুণকেও ক্ষমা করে দিলাম। ঘৃণার জবাব ঘৃণা নয়।” কান্না চেপে রেখে তিনি বলেন, “ওই তরুণকে আমি ক্ষমা করেছি।”

এরিকা আরও জানান, অভিযুক্তের জন্য তিনি মৃত্যুদণ্ড দাবি করবেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত যাই হোক, তিনি চান না প্রতিহিংসা বা ঘৃণার কারণে কারও মৃত্যু হোক। তার ভাষায়, “আমি চাই না কারও রক্ত আমার জীবনের খাতায় যুক্ত হোক।”

চার্লি কার্ক হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা ও মতাদর্শিক বিভাজন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রিপাবলিকান নেতারা এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উত্তেজনার ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

স্মরণসভায় হাজারো শোকার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশিষ্ট ধনকুবের ইলন মাস্কসহ রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতারা।

হত্যার পর টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র নেতৃত্ব এখন এরিকা কার্কের হাতে যাচ্ছে। চার্লি কার্কের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে তিনি নিজে চান তার স্ত্রী সংগঠনটির নেতৃত্ব নিক।