বান্দরবানে দুর্গাপূজা ঘিরে পুলিশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বান্দরবান জেলা পুলিশের প্রস্তুতি সভা।

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান: আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদ্‌যাপনকে সামনে রেখে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জেলা প্রশাসনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর প্রতিনিধি এবং জেলার পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও পূজা মণ্ডপ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলার প্রতিটি থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রের অফিসাররা অনলাইনে জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম (বার)। তিনি উপস্থিত সকলের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। বান্দরবান একটি বহু জাতি, বহু ধর্ম ও বহু সংস্কৃতির জেলা। এখানে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান। এই ঐতিহ্য রক্ষা ও নিরাপদ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি।”

তিনি আরও জানান, জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া তিনি পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, মণ্ডপ কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানান। কোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হয়ে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।

পুলিশ সুপারের ভাষায়, “আমাদের লক্ষ্য হলো শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের সহযোগিতা ও সচেতন অংশগ্রহণের মাধ্যমে বান্দরবান জেলায় এবারের দুর্গাপূজা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে।”

সভায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধি ও পূজা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।