পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে—এমন আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার মতে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দীর্ঘদিন নির্ভরশীল থাকলে দেশের টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হবে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইউনূস এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এখন বিকল্প জ্বালানি উৎসে যেতে হবে। সৌরবিদ্যুতের মতো পরিচ্ছন্ন শক্তির বৃহৎ পরিসরে ব্যবহার বাড়াতে হবে।

সম্মেলনে কার্ল পেজ বলেন, পারমাণবিক শক্তি আর বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। তিনি উল্লেখ করেন, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করছে।

পেজ জানান, বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লি কম রক্ষণাবেক্ষণ সাপেক্ষ, দীর্ঘস্থায়ী এবং শিল্প খাতকে কয়েক দশক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। তার মতে, বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিলে কর্মসংস্থান বাড়বে, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং শিল্প খাত প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যেখানে সৌর শক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত কমাতে হবে। তবে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের আগে গভীর গবেষণা অপরিহার্য।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।