২০২৫ ইউনেস্কো মেয়ে ও নারী শিক্ষা পুরস্কার: বেইজিংয়ে ১০তম বার্ষিকী উদযাপন
বিশ্ব ডেস্ক: চীনের প্রথম মহিলা ও ইউনেস্কোর বিশেষ দূত প্রফেসর পেং লিয়ুয়ান এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালিকা অড্রে অ্যাজুলাইয়ের উপস্থিতিতে বেইজিংয়ে ২০২৫ সালের ইউনেস্কো মেয়ে ও নারী শিক্ষা পুরস্কারের বিতরণ অনুষ্ঠান এবং ১০তম বার্ষিকী উদযাপন হয়েছে।
২০১৫ সালে চীন ও ইউনেস্কো যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কারটি বিশ্বব্যাপী মেয়ে ও নারীদের শিক্ষার উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি দেয়। এপর্যন্ত ১৯টি দেশের ২০টি প্রকল্প পুরস্কৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি বেইজিংয়ের একটি প্রধান স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতি বছর দুটি লরিয়েট (বিজয়ী প্রকল্প) নির্বাচিত হয় এবং প্রত্যেককে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবছরের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
পুরস্কারের উদ্দেশ্য
ইউনেস্কো মেয়ে ও নারী শিক্ষা পুরস্কারটি মেয়ে ও নারীদের শিক্ষায় বাধা দূর করা, লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৪) অর্জনে সহায়তা করতে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বব্যাপী ১২২ মিলিয়ন মেয়ে স্কুলের বাইরে রয়েছে।
প্রধান বক্তাদের বক্তব্য
প্রফেসর পেং লিয়ুয়ান বলেন, “শিক্ষার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়ন লক্ষ লক্ষ মেয়েকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।”
ইউনেস্কোর মহাপরিচালিকা অড্রে অ্যাজুলাই বলেন, “চীনের সহযোগিতা আরও গভীর করে মেয়ে ও নারী শিক্ষায় ফলপ্রসূ পরিবর্তন আনা সম্ভব।”
চীনের অবদান
চীন ২০১৫ সাল থেকে পুরস্কারের প্রধান অর্থায়নকারী। স্থানীয় উদ্যোগে হাজার হাজার মেয়েকে শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পুরস্কার আরও বিস্তৃত হবে, যাতে স্থানীয় সরকার ও এনজিও অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়।
চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয় এবং এসসিও নিউজের পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যেখানে শিক্ষায় চীনের অবদান তুলে ধরা হয়েছে।