ট্রাম্প-শি ফোনালাপ: টিকটক ও বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তের পথে

ট্রাম্প-শি ফোনালাপ: টিকটক ভবিষ্যৎ ও বাণিজ্য নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে

বিশ্ব ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ভবিষ্যৎ এবং দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সম্পর্ক।

ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে জানান, আলোচনায় টিকটক ছাড়াও বাণিজ্য নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে কথা হবে। তিনি বলেন, “সবকিছুতে আমরা খুব কাছাকাছি, এবং আমার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই ভালো।”

এটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর ও শি’র মধ্যে দ্বিতীয় টেলিফোনালাপ। এর আগে জুন মাসে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, শি তাঁকে চীন সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তিনি পাল্টা আমন্ত্রণও দিয়েছেন। তবে এখনও কোনো সফর পরিকল্পনা হয়নি।

টিকটক ইস্যু

মার্কিন নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন অংশ বিক্রি করতে বলা হয়েছিল। যদিও ট্রাম্প একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা পিছিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, আশা করছেন এবার টিকটক নিয়ে চূড়ান্ত সমাধান আসবে।

ট্রাম্পের দাবি, টিকটক তাঁকে তরুণ ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় করেছে এবং এটি ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর বিজয়ে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

সম্ভাব্য চুক্তিতে টিকটকের মার্কিন শেয়ার থাকবে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের হাতে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য মতে, টেক জায়ান্ট ওরাকল ও ক্যালিফোর্নিয়ার দুই বড় বিনিয়োগ তহবিল—সিলভার লেক ও আন্দ্রেসেন হরোভিটজ—এই কনসোর্টিয়ামে থাকতে পারে।

বাণিজ্য ও শুল্ক

দুই দেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধ বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত করেছে। পরে শুল্ক কমানো নিয়ে যে চুক্তি হয়, তার মেয়াদ নভেম্বরেই শেষ হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ৩০% শুল্ক এবং চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করেছে।

এই ফোনালাপের সময় শি সম্প্রতি রাশিয়া ও ভারতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ—এসব বিষয়ও আলোচনায় আসে। ট্রাম্প মজার ছলে শি-কে লিখেছেন, “পুতিন ও কিমকে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন, যখন আপনারা আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন।”

এদিকে ট্রাম্প ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য শাস্তিমূলক শুল্ক দিয়েছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটন এখনও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে তেমন পদক্ষেপ নেয়নি।