নাসা প্রকাশ করল ‘ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টার’ নক্ষত্র ছবি

‘এনজিসি টুটু সিক্স ফোর’ ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক : নক্ষত্রপ্রেমী ও জ্যোতির্বিদদের মধ্যে ছোটদিনের আনন্দ আর আশ্চর্য বৃদ্ধি করতে চলেছে, নাসা দ্বারা প্রকাশিত ‘ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টার’ নক্ষত্র ছবি দেখে। এই অসাধারণ ছবি মঙ্গলবারে নাসা দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে এবং তা দেখতে অনেকটা একটি ক্রিসমাস ট্রির মতো।

এই অদ্ভুত নক্ষত্র সমূহের সমৃদ্ধি নিয়ে একটি অনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত ‘এনজিসি টুটু সিক্স ফোর’ ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টার। নাসা এ নক্ষত্র সমূহের বর্ণনা দিয়েছে যে, এই ক্লাস্টারটি মিল্কিওয়ে থেকে প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

এই ক্রিসমাস ট্রি ক্লাস্টারটির রঙ এবং আকারের অসাধারণতা আকর্ষণীয়। নাসা জানাচ্ছে, ক্লাস্টারটির বিভিন্ন নক্ষত্রের ভর সূর্যের চেয়ে কম, তবে অন্যান্য নক্ষত্রগুলোর ভর সূর্যের চেয়ে সাত গুণ বেশি। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি একটি স্ববাদী নক্ষত্র ক্লাস্টারকে আরও আকর্ষণীয় করেছে।

এই ছবি তৈরি করতে নাসা ব্যবহার করেছে চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির তথ্য। চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি ১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এবং তার মাধ্যমে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। চারটি প্রসিদ্ধ অবজারভেটরি যেমন হাবল স্পেস টেলিস্কোপ, স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ, এবং কম্পটন গামা রে অবজারভেটরি এই কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল।

নাসার এই ছবি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত অবজারভেটরি ১৯৯০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি মোট হিসেবে চারটি গ্রেট অবজারভেটরির একটি, এবং এতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ, স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ, এবং কম্পটন গামা রে অবজারভেটরি অংশগ্রহণ করে।

এই নক্ষত্র ক্লাস্টারের ছবি দেখতে নক্ষত্রপ্রেমী ও জ্যোতির্বিদরা আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসাহিত হতে পারেন। এই ছবির মাধ্যমে নাসা অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় স্থানীয়তা প্রদর্শন করলো এবং সবুজ, লাল ও নীল বর্ণের নক্ষত্রের মিলনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সম্ভাবনা হয়েছে