২৫০ গ্রেপ্তার, সহিংসতায় অস্থির ফ্রান্স

নতুন প্রধানমন্ত্রী লেকর্নুর শপথের দিনেই বিক্ষোভ তীব্র!

বিশ্ব ডেস্ক: ফ্রান্স জুড়ে নতুন করে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ এবং সরকারের বাজেট কাটছাঁটের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ‘ব্লোকোঁ টু’ (সবকিছু বন্ধ করি) নামে তৃণমূলভিত্তিক আন্দোলন বুধবার দেশজুড়ে তীব্র আকার ধারণ করে।

ঠিক সেদিনই নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু শপথ নেন, যিনি সদ্য আস্থা ভোটে পরাজিত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

বিক্ষোভ ও সহিংসতা

আন্দোলনকারীরা প্যারিস, মার্সেই, বোর্দো ও মন্তপেলিয়েসহ বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষের সমাবেশ ঘটায়। তারা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ডাস্টবিনে অগ্নিসংযোগ এবং অবকাঠামো ও স্কুলে প্রবেশে বাধা দেয়।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো জানিয়েছেন, দেশজুড়ে অন্তত ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রেন শহরে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

তুলুজের কাছে বিদ্যুতের তার নষ্ট করা হয়েছে।

স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা ঠেকাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।

আন্দোলনের পটভূমি

‘ব্লোকোঁ টু’ আন্দোলনের সূচনা হয় কয়েক মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে। এটি জোরদার হয়, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাইরু ৪৪ বিলিয়ন ইউরোর বাজেট কাটছাঁটের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবটি জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং ধীরে ধীরে আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

দাবিগুলো

আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে চারটি প্রধান দাবি তুলেছে—

১. সরকারি খাতে বেশি বিনিয়োগ।

২. উচ্চ আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি কর

৩ . ভাড়া স্থির রাখা

৪. প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

বিশ্লেষকদের মতে, ‘ব্লোকোঁ টু’ আন্দোলন এখন শুধু বাজেট কাটছাঁট নয়, বরং সরকারের প্রতি দীর্ঘদিনের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। নতুন প্রধানমন্ত্রী লেকর্নুর শপথের দিনেই সহিংস বিক্ষোভ তার নেতৃত্বের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

দেশটি আবারও নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।