বান্দরবানে জেলা প্রশাসকের বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন

“নীলাচলে ২৫ হাজার গাছের সবুজ যাত্রা শুরু করলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক”

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের অপরূপ প্রকৃতির জেলা বান্দরবান সবুজ পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, ঝর্ণা, নদী আর মেঘের রাজ্যে ঘেরা এক স্বর্গরাজ্য। প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পাহাড়কন্যা খ্যাত এ জেলার বিশেষ আকর্ষণ নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র।

সেই নীলাচলেই বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হলো বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন।

‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং বন বিভাগ ও হর্টিকালচার সেন্টারের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আরা রিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন—“বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ নয়, অর্থনীতিতেও জনগণ উপকৃত হবে। বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ রোপণ খাদ্য ও ওষুধের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

তিনি আরও জানান, এ বছর জেলায় ২৫ হাজার গাছ রোপণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মৌসুমি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে বান্দরবানকে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব জেলায় রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মনজুরুল হক, মমতা আফরিন, এস এম হাসান, সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট জয়া দত্ত, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসিফ রায়হান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এমএম শাহনেয়াজ সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষত্ব

বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়া এলাকায় অবস্থিত নীলাচল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০–২০০০ ফুট উঁচু। এখান থেকে পুরো বান্দরবান শহর, মেঘের অসাধারণ খেলা এবং আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতও দেখা যায়।

‘স্বর্গভূমি’ খ্যাত এ স্থানটি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং পরিবেশ-সচেতন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষায় এখানে প্রায়ই বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।

“নীলাচল” শব্দের আভিধানিক অর্থ নীলবর্ণ পর্বতচূড়া। এখানকার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মেঘের স্পর্শ ও সবুজ পাহাড় পর্যটকদের কাছে এ স্থানকে করেছে অন্যতম আকর্ষণীয়।