স্বস্তি নেই সবজির বাজারে, ব্রয়লার ১৭৫, ভরা মৌসুমেও চড়া ইলিশের দাম

টুইট ডেস্ক: মাছ-মুরগি বা সবজি- কোথাও নেই স্বস্তি। বেগুন, সিম, বরবটি থেকে শুরু করে টমেটো; সবই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কয়েদিন ধরে বলা হচ্ছিলো, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাড়ছে দাম। কিন্তু কয়েকদিন টানা বৃষ্টি নেই। তারপরও কমছে না সবজির দামের উত্তাপ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার পছন্দের সবজি বেগুন। লম্বা এবং গোল; দুই ধরণের বেগুনেরই আছে আলাদা চাহিদা। তবে, বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগালে নেই দাম। এককেজি গোল বেগুনের জন্য এখন গুণতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর লম্বা বেগুন কিনতে লাগছে ১০০ টাকা। ক্রেতার অন্যতম বেশি চাহিদার সবজি ঝিঙ্গা। এই সবজির কেজি এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

রাজধানীর পলাশী বাজারে লাউ, বরবটির দামও আকাশ চুম্বি। ৮০ টাকায় মিলছে একেকটি লাউ। আর বরবটির কেজি ১০০। টমেটোর গায়ে হাত দেয়া কঠিন। কেজিপ্রতি ভারতীয় টমেটোর মূল্য ১৫০ টাকা। উস্তার কেজি ১০০ আর সিম কিনতে লাগছে ১৮০ টাকা।

কাঁচামরিচের দাম এখনও অসহণীয়। এককেজির দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ। কিন্তু দামে তার কোন প্রভাব নেই। মিশ্রজাতের দেশি পেঁয়াজের কেজি এখনও ৮০ টাকা।

মাছের দামও অস্বস্তিকর। চাষের মাছের দাম কিছুটা কম হলেও দেশি নদীর মাছের গায়ে হাত দেয়া যাচ্ছে না।

চাষের চিংড়ির কেজি ১ হাজার টাকার বেশি। দেশি বোয়াল কিনতেও লাগছে হাজার টাকা। টেংড়া ৬০০ থেকে ৯০০ আর কাজলী মাছের জন্য গুণতে হচ্ছে ১০০০ টাকা। চাষের কই ও পাবদার কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ মাছের দাম আগের মতোই চড়া। বলা হচ্ছে সরবরাহ কমের প্রভাব পড়েছে বাজারে। এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫শ’ টাকায়। পাঙাসও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য মাছের দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭৫ টাকায়। কক মুরগি ৩১০, মোরগ ৩৩০। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি কিনতে কেজিপ্রতি খরচ করতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।