দুইটা আওয়ামী লীগ এক জায়গায় হলেই প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি বিএনপি নেতার

টুইট ডেস্ক: দুই জন আওয়ামী লীগ কর্মী এক জায়গায় হলেই প্রতিরোধের হুশিয়ারি দিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ভোটের আগে এ আসনে সহিংসতার জন্য যদি দুটো(দুই জন) আওয়ামী লীগও এক জায়গায় হয়, আমরা প্রতিরোধ করব। উপরে আল্লাহ, নীচে তারেক রহমান। ইটের বদলা পাটকেল দিয়েই দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যরিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামালের এ বক্তব্যে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোজাম্মেল হকের ছেলে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের গুরুদাসপুর বাজারে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুল হক ডিউক। এ সভায় যোগ দেন ব্যরিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামালের অনুসারীরা।

ব্যরিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আশংকা করা হচ্ছে নির্বাচনের পূর্বে তফশিল ঘোষণা করার আগে আওয়ামী লীগের যেসব স্লিপার সেল রয়েছে, তারা সারাদেশে ব্যাপক রক্তক্ষরণ ঘটাবে। সহিংসতার জন্য দুই জন আওয়ামী লীগও যদি এক জায়গায় হয়, আমরা প্রতিরোধ করবো। আমরা শান্তি চাই, চাই মানুষ শান্তিতে থাকুক। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তত আছি। আমরা এখনো মরে যাইনি। আমরা চেষ্টা করব নির্বাচন পর্যন্ত যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।

ব্যরিস্টার মোস্তফা কামাল দলের প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য বলেন, ‘কারা যেন বলেছিল ৩ তারিখ তারা নমিনেশন ডিক্লার পাবে আর ৪ তারিখ মোস্তফা কামাল এলাকা থেকে চলে যাবে। ৩ তারিখ নমিনেশনও দেয়নি দল আর ৪ তারিখ মোস্তফা কামাল এলাকায় আপনাদের সবার সামনে। তারা প্রতিদিন নমিনেশন দেয়, নমিনেশন পায়। তাদের সভা সমাবেশে লোক আসে সিরাজগঞ্জ, পাবনা থেকে। আমার সমাবেশে বাইরের লোক লাগে না।’

তিনি আরো বলেন, দেশে নেতৃত্বের যে সংকট রয়েছে তা একমাত্র পূরণ করতে পারেন তারেক রহমান। দেশের গণতন্ত্রকামী প্রত্যেক মানুষ আগামীর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তারেক রহমানকেই চায়। যিনি ১৮ বছর দেশের বাইরে থাকা সত্বেও বিএনপিকে দ্বিখন্ডিত হতে দেননি, তিনি যখন রাষ্ট্রের নেতৃত্বে দেবেন তখন বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রকৃত স্বাদ পাবে।’

মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর ফিরবে না। তাই ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই। বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরে শান্তি বিনষ্ট করতে এলে শান্তিতে থাকতেও দেয়া হবে না। বিএনপির কর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। মানুষ অভূতপূর্ব সাড়া দিচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভূমিধ্বস বিজয় অর্জিত হবে।’

এদিকে, রাতে বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ব্যরিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ এ আসনে লোকদেখানো ভোটে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। যেহেতু তারা এবার সরাসরি নেই, তাই বিভিন্নভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের অবস্থান এ ব্যাপারে পরিস্কার আমরা কোন আওয়ামী লীগ কর্মীকে এক মিনিটের জন্যও রাজপথের দখল নিতে দেবো না।’