নিয়ামতপুরে জোরপূর্বক জমি পুকুর দখলের অভিযোগ
টুইট ডেস্ক: নওগাঁর নিয়ামতপুরে জোরপূর্বক জমি পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাংশৈল (অর্জুনপুর) গ্রামের মৃত মনেশ্বর দাসের ছেলে বিনোদ কুমার দাসের প্রায় ১১ বিঘা ধানী জমি ও পুকুর জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে একই গ্রামের মৃত রঘুনাথ দাসের ছেলে দেবেন দাস, সুবল দাস, শশি দাস, মৃত দলিত দাসের ছেলে সিতেন, চুটুরিয়া দাসের ছেলে শিরিশ দাস, মৃত বৈদ্যনাথ দাসের ছেলে নিরঞ্জন দাস, বিরেন দাস, নিরেন দাস, উজ্জ্বল দাস, মৃত- ধীরেন দাসের ছেলে সবুজ দাস এবং রাজপতি দাসের ছেলে প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে। দখলদারদের বিরুদ্ধে বিনোথ দাস গত ২৯ আগষ্ট নিয়ামতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বিনোদ দাস বলেন, সম্পত্তির মূল মালিক ধনপতির ছেলে লখিয়া দাস। লখিয়া দাসের একমাত্র কন্যা জসমতি। তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। কিন্তু আমি জসমতির পালিত সন্তান। জসমতি আমাকে লেখাপড়া করার, বিয়ে দেন এবং তার নামীয় সকল সম্পত্তি দলিল মুলে আমাকে প্রদান করেন। আমি সেই দলিল মুলে জসমতির সকল সম্পত্তির মালিক। কিন্তু লখুয়ার ভাতিজার সন্তানরা জোরপূর্বক উক্ত সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। যার মধ্যে ধানী জমি ও পুকুর রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিঘা সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। আমি সাধারণ নিরহ ব্যক্তি তাই আমি তাদের সাথে লাঠির শক্তি দেখাতে পারছি না। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। দখলদাররা সম্পত্তির মালিকা দাবীর জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার রায় না পেতেই জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। এবং আরো সম্পত্তি দখলরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে রায় না হওয়া পর্যন্ত সম্পত্তিতে যেতে পারবে না।
অভিযুক্ত দেবেন বলেন, লখিয়ার কোন পুত্র সন্তান ছিল না। আর আমাদের ধর্মে কন্যা সন্তানরা কোন সম্পত্তি পায় না। সে সূত্রে লখিয়ার সম্পত্তির ওয়ারিস আমাদের বাবা মানে লখিয়ার ভাতিজা। আর আমরা ভাতিজার সন্তান। বিনোদ যে দলিল মূলে মালিকানা দাবী করছে তা জাল দলিল। সে তার নিজের মাকে পালিত মা সাজিয়ে সম্পত্তি জাল করেছে। আমরা এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
আরেক ভুক্তভোগী সুবল বলেন, আমরা লখিয়ার সম্পত্তির ওয়ারিশ। আমরা সম্পত্তি ভোগ দখল করবো। বিনোদ কে? সে এই সম্পত্তির মালিক না। এতদিন ভূয়া দলিল মূলে সম্পত্তি ভোগ দখল করে খাচ্ছিল। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।