ডাকসু নির্বাচনে আলোচনায় তিন পাহাড়ি কন্যা

অসীম রায় (অশ্বিনী): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনজন পাহাড়ি কন্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পাড়া-মহল্লা, গ্রামীণ এলাকা ও চা দোকান-ঘাটে সবার মুখে চলছে তাদের নাম।

তিন প্রার্থী হলেন—‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে সুর্মী চাকমা, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, এবং বাম সংগঠন ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেমা চাকমা।

এবারের নির্বাচনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও উপজাতি শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই বৈচিত্র্যময় অংশগ্রহণ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক করেছে।

পাহাড়ি প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন।

রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, মেন্টরশিপ, উদ্যোক্তা মেলা ও খণ্ডকালীন চাকুরির সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা করেছেন।

সুর্মী চাকমা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল বই, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া উন্নয়নের উদ্যোগ নেবেন।

হেমা চাকমা স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, মেডিক্যাল সেন্টার আধুনিকায়ন ও স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা সহজলভ্য করার পরিকল্পনা করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ তিনজন প্রার্থীর অংশগ্রহণ প্রমাণ করছে ডাকসু এখন শিক্ষার্থীদের জন্য সমতার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হচ্ছে। ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ডাকসুকে আরও গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলছে।

তাদের জয় কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ছাত্র রাজনীতিতে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।