যু’দ্ধবিরোধী প্রার্থীকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া

টুইট ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করতে চাওয়া প্রার্থীকে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেইনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন ইয়াকেতেরিনা দান্তসোভা নামের ওই রাজনীতিবিদ।

ইয়াকেতেরিনা আবেদনের ফর্মে ১০০ ভুল করেছেন উল্লেখ করে তার ফর্ম জমা দেয়ার তিন দিন পর সর্বসম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থীতা বাতিল করে।

ইয়েকেতেরিনা জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তিনি আপিল করবেন।

প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেইনে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর ২০২৪ সালের মার্চে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি রাশিয়ায় প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

পুতিনের সমালোচনা করা কারও বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়ার ঘটনাকে অনেকেই মত প্রকাশের ভিন্নতার বিরুদ্ধে পুতিন সরকারের পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনের প্রধান এলা পামফিলোভা বলেছেন, ইয়াকেতেরিনা পরবর্তী ধাপ হিসেবে নিজের সমর্থকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারবেন না।

ইয়াকেতেরিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমার বয়স বেশি নয়। তোমার সামনে আরও অনেক কিছু রয়েছে। যে কোনো নেতিবাচকতাকেই ইতিবাচক কিছুতে পরিণত করা সম্ভব। যে কোনো কিছুর অভিজ্ঞতাই মূল্যবান।’

সাবেক এই টিভি সাংবাদিক নভেম্বরে জানিয়েছিলেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন। ওই সময় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানান, ‘যেকোনো বিবেকবান মানুষের জন্যই এই পদক্ষেপটি ভয়ংকর। কিন্তু ভয়কে জয় করতে হবে।’

প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৪ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর করে ২০২০ সালে রাশিয়ার সংবিধান সংশোধন করা হয়।

বছরের পর বছর ধরে মস্কো বিরোধীদেরকে উপেক্ষা করে গেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট পুতিনই মার্চে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার প্রতি রাশিয়ার জনগনের সমর্থন রয়েছে ক্রেমলিন দাবি করেছে।